গত ৫ আগস্ট আদাবরে নিহত হন পোশাক কারখানার শ্রমিক মো: রুবেল। এই ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা রফিকুল ইসলাম। সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকেকেই আসামি করা হয়েছে। যেখানে নাম আছে সাকিবেরও।
হত্যা মামলা হওয়ার পর সাকিবকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিসিবিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এক আইনজীবী। তবে মামলা হওয়ার পরও দিব্যি খেলে চলেছেন সাকিব।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মামলার কারণে সাকিব কিংবা জায়েদ খান, তাদের কারো সঙ্গে কি গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে? ঘটেনি। আমরা বারবার মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমরা পুলিশকে বলেছি, ‘আপনারা বুঝানোর চেষ্টা করেন মানুষকে যে, মামলাতে আপনি যে অভিযোগ আনছেন সেটা বিশ্বাসযোগ্য কিনা।’ পুলিশের কাছ থেকে এবং আদালতের কাছ থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি, যারা মামলা করতে আসে সেখানেও (পুলিশের ওপর) চাপ থাকে।’
এই প্রসঙ্গে বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত জাতীয় দিলের দরজা সাকিবের জন্য খোলা। প্রয়োজনে এই অলরাউন্ডারকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি।
তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে দেশটিতে দলের সঙ্গেই আছেন সাকিব। তবে বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজ আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই সিরিজটির ভেন্যু বাংলাদেশে হওয়ায় খেলতে চাইলে দেশে ফিরতেই হবে সাকিবকে।