বুধবার সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার থেকে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ১২ দফা নির্দেশনা দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ । সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টে আগত বিচারপ্রার্থীদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারিদের তাদের দাপ্তরিক কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট রুলস, বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন, সার্কুলার ও অন্যান্য নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিচারপ্রত্যাশী জনসাধারণ ও তাদের নিযুক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার এবং উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট অনুকরণীয় আদর্শ তৈরি করবে।
নির্দেশনা গুলো হলো-
১) দায়িত্ব পালনে কোড অব কন্ড্যাক্ট যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
২) দায়িত্ব পালনকালে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে।
৩) সেবা গ্রহীতাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৮) সেবা প্রদানের সময় কোনো প্রকার বিলম্ব সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য হবে।
৫) সেবা গ্রহীতাদের কোনো প্রকার হয়রানি করা যাবে না।
৬) সুপ্রীম কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণকে সেবা গ্রহীতাদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে।
৭) প্রতিটি শাখায় প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন সম্পন্ন করতে হবে এবং কোনো কাজ পেন্ডিং রাখা যাবে না।
৮) প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারগণকে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখাসমূহে প্রতিদিন সরেজমিনে মনিটর করতে হবে।
৯) প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারগণ তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখার কার্যক্রম সম্পর্কে স্ব স্ব অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারগণকে নিয়মিত অবহিত করতে হবে।
১০) উক্ত মনিটর কার্যক্রম ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে শুরু হবে।
১১) প্রতি ৪ সপ্তাহ পর পর অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারগণ মনিটরিং কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া ও ফলাফল রেজিস্ট্রার আপীল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং রেজিস্ট্রার (বিচার) এর নিকট রিপোর্ট করবেন।
১২) যদি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি আচরণবিধি এবং উপরিউল্লিখিত নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো সেবা গ্রহীতাকে হয়রানি করেন বা আর্থিক লেনদেন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।