টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে গত মঙ্গলবার থেকে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। প্লাবনের ফলে ফসলী জমি, ক্ষেত খামার এবং চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যানদের দেয়া তথ্যমতে, প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬টি, হ্নীলা ইউনিয়নের ৫টি, টেকনাফ পৌরসভার ৪টি, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ২টি, সাবরাং ইউনিয়নের ৩টি এবং বাহারছড়া ইউনিয়নের ২টি গ্রাম। সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিম্নাঞ্চলেও পানি ঢুকে পড়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের ৩-৪ গ্রামের ৪ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাহাড় ধসে পড়ার আশঙ্কায় মাইকিং করা হচ্ছে এবং সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি জানিয়েছেন, লম্বা বিল, উলুবনিয়া, আমতলি, মিনাবাজার, উনচিপ্রাং, কাঞ্চনপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, রইক্ষ্যং গ্রামে পানি ঢুকে গেছে। এর ফলে উনচিপ্রাং এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ২-৩ ফুট পানি উঠে গেছে।

বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের ১০ গ্রাম সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার পরিবার দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।

বর্তমানে টেকনাফের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে এবং গভীর রাতে ধমকা হাওয়ার কারণে অনেক বাড়ি, ঘেরা বেড়া এবং গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির অব্যাহত থাকার কারণে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *