কুমিল্লা প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনে ৪আগস্ট কুমিল্লার দেবীদ্বারে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের নবজাতক সন্তান ও তার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন দেবীদ্বারের বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মন্জুরুল আহসান মুন্সী।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার মন্জুরুল আহসান মুন্সির পরিবারের পক্ষ থেকে তারই সুযোগ্য সন্তান ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সী দেবীদ্বার শিশুমাতৃ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে রুবেলের স্ত্রী ও নবজাতক সন্তানকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তাদের খুঁজ খবর নিতে এসে এ ঘোষণা দেন। হাসপাতাল ছাড়পত্র দিলে এসময় নবজাতক শিশুটিকে তিনি তার কোলে নিয়ে নিজ গাড়িতে করে মা ও নবজাতক সন্তানকে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। নিহত রুবেল দেবীদ্বার পৌরসভার বারেরা গ্রামের মরহুম রফিকুল ইসলামের পুত্র।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান কবির, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মোসাঃ সুফিয়া বেগম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল সাইফুলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নিহত রুবেলের স্ত্রী হ্যাপি আক্তার জানায়, রুবেল ছিলেন বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে, তার বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ধরেছিল রুবেল। গাড়ি চালিয়ে স্ত্রী, সন্তান ও মাকে নিয়ে জীবন যাপন করতো। রুবেল ও হ্যাপি দম্পতির নৌফা নামের একটি ছয় বছরের মেয়েও আছে। আন্দোলনের সময় রুবেলের স্ত্রী হ্যাপী আক্তার ছিলেন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আলটা সনোগ্রাফির মাধ্যমে তারা আগেই জানতে পেরেছিল তাদের কোল জুড়ে আসছে একটি ছেলে সন্তান, তাই আগে থেকেই ছেলের নাম রাইয়ান রাখার সিদ্ধান্ত নেন রুবেল। তার নির্ধারিত নামেই নবজাতক সন্তানের নাম রাখা হয় রাইয়ান। সন্তানকে ঘিরে আমার স্বামীর অনেক স্বপ্ন ছিল, সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে হত্যা করে আমার সন্তানদের এতিম করে দিয়ে গেলো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। আমার সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকতে আমার জন্য একটি কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে দিলে আমি আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো।
ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সী বলেন, আমার পিতা দেবীদ্বারের গণমানুষের নেতা সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মন্জুরুল আহসান মুন্সী শহীদ রুবেলের নবজাতক সন্তান রাইয়ানসহ তার পরিবারের সকল দায়িত্ব নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। শহীদ রুবেলের স্ত্রী হ্যাপি আক্তার চাচ্ছেন তার জন্য একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে। আমি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কথা দিচ্ছি ইনশাল্লাহ শহীদ রুবেলের স্ত্রীর জন্য একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তিনি যেনে পরিবার নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারেন।