ডেস্ক রিপোর্ট: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ভারত আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী এবং চারদিক থেকেই ভারত আমাদের আছে। তাই আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো না হলে কোনো গত্যন্তর নেই। দুই দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক রেখে কেউ লাভবান হবে না। আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে সম্পর্কের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “বৈরী সম্পর্কের কারণে দুটো দেশের কোনো লাভ হবে না। ভারতের সাথে আমাদের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিরোধ নিরসনে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চললেই সমাধান সম্ভব। সার্ক ও বিমসটেক সক্রিয় করার চেষ্টা করা হবে। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়তে চাই।”
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস গত এক মাসে সরকারের নেয়া উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি জানান, শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, “আমরা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এসেছি। সবার প্রথম কাজ হলো শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। দেশের অর্থনীতি একসময় ভঙ্গুর ছিল। জনগণের আশা, লুটপাটের সরকার থেকে একটি সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।”
ড. ইউনূস রাষ্ট্র সংস্কার ও সংবিধান পুনর্লিখনের দাবির বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “এটি একটি বড় সুযোগ। সংবিধানে হাত দিতে হবে, নতুন করে লিখতে হবে কি না, সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। একটি কমিশন গঠন করা হবে যা বিচার-বিবেচনা করবে। পুরো আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংস্কার, যা দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার অংশ।”