সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত আরও দুই সাংবাদিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্যতম হলেন সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মে. নজরুল ইসলাম সিপার, যিনি ইউনাইটেড নেশন অর্গানাইজেশন (ইউএনএসএসসি) এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস মেম্বার হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয় আহত সাংবাদিক হলেন তালাশ টিভির স্টাফ রিপোর্টার লিমন আহমেদ।
৪ আগস্ট দুপুর ২টায় করিম উল্লা মার্কেটের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হন নজরুল ইসলাম সিপার ও লিমন আহমেদ। ওই সময় পুলিশ ও ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলামের বাম পায়ের নলাতে ও ডান পায়ের হাটুতে রাবার বুলেটের গুলি লাগে। অপরদিকে, তালাশ টিভির স্টাফ রিপোর্টার লিমন আহমেদের মাথায়ও রাবার বুলেটের আঘাত লাগে, ফলে তিনি গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর আহত সাংবাদিকদের স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং রাবার বুলেটের গুলি বের করা হয়। পরবর্তীতে, প্রাইভেট চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, তাদেরকে সিলেট এম.এজি উসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বর্তমানে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম সিপার বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অবস্থা গুরুতর হলেও, তিনি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছেন। লিমন আহমেদও চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তবে তার অবস্থাও উন্নতির দিকে।
এই ঘটনায় সিলেটের সাংবাদিক মহল ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পুলিশের এই আচরণের বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাবে।
এদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা জানিয়েছেন, তারা আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ রূপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।