ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাবেক সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা মাকে নির্যাতন করে আলোচনায় আসার পর এবার তার বিরুদ্ধে বোন ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। ফেরদৌস আরা বর্তমানে খুলনা সদরে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদে কর্মরত।
ফেরদৌস আরার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর পিতার রেখে যাওয়া সম্পদ একা ভোগ করার জন্য নানা কৌশল গ্রহণ করেছেন। পিতার সম্পদ মূলত পরিবারের সবার নামে থাকলেও, ফেরদৌস আরা তার মায়ের ওপর অত্যাচার করে সেই সম্পদের দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। অভিযোগ রয়েছে যে, ফেরদৌস আরা তার মা আঞ্জুমান আরা খানমকে চাপ দিয়ে পিতার রেখে যাওয়া জমিতে নির্মিত বাড়ি দখল করতে চান। বাড়িটি ভাড়া দিয়ে মায়ের সংসার চালানো হচ্ছিল, কিন্তু ফেরদৌস আরা ও তার স্বামী এসে ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন।
এছাড়া, ফেরদৌস আরা তার ছোট বোন শৈলকুপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাফরিন আরা এবং তার স্বামী শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আফরোজ আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের বিভিন্ন তারিখে একাধিক মামলার দায়ের করা হয়, যার মধ্যে জিডি, দেওয়ানী মামলা ও ফৌজদারী মামলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের তদন্তে অভিযোগ উঠেছে যে, শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমান ঘটনাস্থলে না গিয়েই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন, ফলে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পায়নি। অভিযোগ রয়েছে যে, পুলিশের তদন্তে ফেরদৌস আরার চক্রান্ত ধামাচাপা পড়ে গেছে।
জাফরিন আরা বলেন, “মায়ের পক্ষ নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা সঠিক তদন্ত চাই, কিন্তু সেটা পাচ্ছি না।”
অপরদিকে, অভিযুক্ত ফেরদৌস আরা দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।