আগামীতে নতুন বাংলাদেশ রচিত হবে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে।
সেই অঙ্গীকার নিয়েই গণঅধিকার পরিষদের রাজনৈতিক পথচলা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেছেন, পুরোনো রাজনৈতিক দলে শাসন ব্যবস্থা ও কর্মপদ্ধতি দেশের মানুষ দেখেছে। যেই লাউ, সেই কদু। শত শত মানুষ ছাত্র আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, আর যেন কাউকে জীবন দিতে না হয়, এজন্য টেকসই গণতন্ত্র চায় গণঅধিকার পরিষদ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাদারীপুর জেলার শিবচরের পাঁচ্চরে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে পারে গণঅধিকার পরিষদ একথা জানিয়েন দলের সভাপতি নুর বলেন, বাংলাদেশকে ভারতের পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার আর নির্যাতনে দেশবাসী দুর্বিষহ ও যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে মেধাবী সেনাদের হত্যা করেছিল। ইসলাম নির্মূল করার জন্য শাপলা চত্বরে সমাবেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। এমন হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার দুঃসাহস বেড়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে যে কোনো আন্দোলনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের গুম ও খুন করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। সর্বশেষ ছাত্রজনতার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে ০৫ আগস্ট এই সরকারের পতন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের আমলনামা খুব একটা ভালো না। যে লঙ্কায় যায়, সেই রাবন হয়। সে চিত্র দেশের মানুষ দেখেছে। পুরোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, হোন্ডা বাহিনী-গুণ্ডা বাহিনী আবার নির্বাচিত হয়ে আসে, তাহলে আমাদের কার জন্যই সুখবর হবে না। এবার পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে, জনগণের হাতে ক্ষমতা রয়েছে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কাকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হবে। বিগত দিনে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে পুলিশ-প্রশাসনকে তাদের মতো করে পরিচালিত ও দলীয়করণ করে। জনগণ কারো কাছে যেন জিম্মি না থাকতে পারে, এজন্য রাষ্ট্রের সংস্কারের প্রয়োজন। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সময় দেওয়া হবে।
নুর বলেন, এক ফ্যাসিবাদ গেছে, আরেক ফ্যাসিবাদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। বিভিন্ন জায়গায় আগে যেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ চাঁদা নিতো এবং দখল করতো, এখন সেখানে অন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা একই কাজ শুরু করেছে। কোনো রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে পারে নাই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তাই, আগামীর রাষ্ট্রনীতিতে তরুণদের অগ্রাধিকার থাকে, তরুণদের নেতৃত্ব থাকে সেজন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। পরিবর্তনের রাজনীতির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি গাউস মৃধার সভাপতিত্বে জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহম্মেদ মুন্সী, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য কাজী ইউসুফ, কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সহ সম্পাদক জাহানারা ইসলাম, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের মাদারীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার মনির, প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর মৃধা, জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি তারেক রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি আবিদ ইসলামসহ অন্যরা।